আধার কার্ড ছাড়াই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাবেন মানুষ, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
না জানিয়ে অনেকের আধার কার্ডের লিঙ্ক কেটে দেওয়া হচ্ছে। বর্ধমানের জামালপুরের ৫০ জনের কাটা হয়েছে। বীরভূমেও কাটা হচ্ছে। আগে বলেছিল আধার না থাকলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হবে না। তুমি কোন অধিকারে না জানিয়ে আধার কার্ড বাতিল করছ? লজ্জা লাগে না। ভোটের আগে মানুষ যাতে ব্যাঙ্কের ঋণ, ব্যাঙ্কের মাধ্যমের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা না পায়, বিনামুল্যে রেশন না পায় তার জন্য তোমাদের চক্রান্ত। আমি পরিস্কার বলে যাচ্ছি নো আধার কার্ড। আধার কার্ড না থাকলেও আমাদের কোন প্রকল্প বাতিল হবে না।আধার কার্ড নিয়ে রবিবার সিউড়িতে এভাবেই কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আধার কার্ডের তোয়াক্কা না করে প্রয়োজনে নতুন পোর্টাল বানিয়ে প্রকল্পের টাকা মানুষের হাতে পৌঁছে দেওয়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা আমাদের কার্ডের মাধ্যমে রাজ্য সরকার চালিয়ে যাব। আর দিল্লির মুখকে ভোঁতা করে দেব। আপনারা ভয় পাবেন না। আমি আছি। বাংলার একটি প্রকল্পও বাতিল হবে না। যদি দেখি আধার কার্ড নিয়ে ওদের কোন ছলনা আছে তাহলে বাংলার একটি প্রকল্পকেও আমি আধারের সঙ্গে সংযোগ করতে দেব না। যাদের আধার কার্ড বাতিল করা হচ্ছে তারা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাবেন। বিকল্প কি করা যায় আমরা দেখব। আর ব্যাঙ্ক যদি মনে করে আধার কার্ড না হলে টাকা দেব না। দরকার হলে ব্যাঙ্ক ছাড়াই কাজ করব। আমাদেরও তো কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক আছে। আমদের অন্যান্য সংস্থা আছে। কোন মানুষ যাতে সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন সেটা দেখার গ্যারেন্টি রইল আপনাদের কাছে। এন আর সি নিয়ে মানুষকে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আবার এনআরসি করতে শুরু করছে। আবার ক্যা ক্যা শুরু করেছে। মাসখানেকের মধ্যে ভোট ঘোষণা হবে। তার আগে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত চালানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষের নাম যাতে ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়ে সেটা দেখার জন্য সকলকে করছি।এক দেশ, এক ভোট প্রসঙ্গে মমতা বলেন, কেন্দ্র বলছে ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন। তার মানে কি রাষ্ট্রপতি শাসন? আমরা বুঝে নেব। লড়ে নেব। দেখিয়ে দেব আমরা খেলতেও জানি, আদায় করে নিতেও জানি। তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, আর কেন্দ্রের কাছে ভিক্ষা চাইব না। মাথা নত করব না। তবে চ্যালেঞ্জ তো করবই। আমাদের টাকা তুমি তুলে নিয়ে যেতে পারবে না। রাজ্যের টাকা রাজ্য পাবে।অনুব্রত মণ্ডলের জেল বন্দি প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, যদি কেউ মনে করে বিনা বিচারে জেলে পুড়ে ভোট করবেন তাহলে মানুষ ক্ষমা করবে না। নির্বাচন কমিশন যদি বিজেপির হয়ে কাজ করে তাহলে আমরাও আন্দোলন করে বুঝে নেব। জরুরি অবস্থায় ইন্দিরা গান্ধি প্রায় ২১০০ লোককে জেলে ভোরে রেখেছিলেন। ভেবেছিলেন আমরা সবটাই জিতব। কিন্তু হেরে গিয়েছিলেন দুর্ভাগ্যবশত। এখন কংগ্রেস সিপিএম আর বিজেপি দুর্ভাগ্যবশত বাম শাম রাম এক হয়ে গিয়েছে। এদের মানুষ ক্ষমা করবে না।